বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন

পদ্মায় পানি বৃদ্ধি, ভাঙন ঝুঁকিতে ৩৫০ পরিবার

পদ্মায় পানি বৃদ্ধি, ভাঙন ঝুঁকিতে ৩৫০ পরিবার

স্বদেশ ডেস্ক:

ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত। আর এ তীব্র স্রোতের কারণে নদী রক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন।

জানা গেছে, পদ্মা নদীবেষ্টিত ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী এলাকায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর লোহারটেক কূলের সংযোগ বাঁধেও দেখা দিয়েছে ভাঙন। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়টি। সাথে এ এলাকার প্রায় সাড়ে ৩০০ পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা ভাঙনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইউএনও বলেন, ভাঙন এলাকায় কিছু বস্তা পানির স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে। তবে সেখানে পুনরায় বালুর বস্তা ফেলানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

জানা যায়, সোমবার দুপুর থেকে ভাঙন দেখা যায়। চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের নদীর বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালুভর্তি জিও ব্যাগের ডাম্পিংকৃত প্রায় ১০ মিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদী ও লোহারটেক কূলের সংযোগস্থলে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। এরপরই পানিতে বালুভর্তি ডাম্পিংকৃত জিওব্যাগ নদীতে তলিয়ে যেতে থাকে। বাঁধের কাজ শুরু হওয়াতে তাদের আশা ছিল আর হয়তো ভাঙবে না। কিন্তু হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়ার পর চিন্তায় পড়ে গেছেন ওই এলাকার বসবাসরত মানুষ।

এ ব্যাপারে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খাঁন জানান, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রায় সাড়ে তিন শ’ পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভাঙনরোধে কাজ চলছে। বালু ভর্তি জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হচ্ছে। এক একটি বালু ভর্তি জিও ব্যাগের ওজন প্রায় তিন শ’ মণ। তাও ফেলার সাথে সাথে নিচের দিকে ডেবে যাচ্ছে। কাজের পরিমাণ ও গতি বাড়াতে হবে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ফরিদপুরে প্রতিদিনই পদ্মাসহ বিভিন্ন নদীর পানি বাড়ছে, তবে এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন নদ-নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে।

তিনি জানান, ভাঙনরোধে কাজ চলছে। সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে দুই শ’ মিটার স্থায়ী বাঁধের কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন করা যায়নি। এ বছর পূর্ব সতর্কতামূলক প্রকল্প এলাকা ঢালু করে তার উপর জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছে। ওই স্থানে ভাঙনের খবর তিনি পেয়েছেন।

পদ্মা নদীর ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা।
সূত্র : ইউএনবি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877